Wednesday, May 10, 2017

বাংলার রূপ


               বাংলার রূপ 
           সুবোধকুমারশীট


ভোর,
রমণীর ললাটের সিদুঁর টিপের মতো সূর্য,
রশ্মির পরশ গাঁয়ে, পাহাড় হতে জুড়ায় সৌন্দর্য।
বাতাসের কোমলতায় ঘুমের তোড়ে,
শান্তির শয়নের সার্থক ভোরে।
পাখির কলরব গুঁজে কানে,
ঘুমের মোহ জাগরণ আনে।
সোনার মোহর নদীর জলে,
কচু পাতায় মণি জমে,শিশুর আনন্দ অতলে।
রবির তেজ বাড়ায়ে চলে,
প্রভাতের রেশ ফিকে বলে।

দুপুর, 
খোলা মাঠে প্রখর রোদে,
ঝলমলে উত্তপ্ত বাতায়ন মিত্তিকার ক্রোধে।
কর্মজীবীর মাথার ঘামে,
তৃষ্ণা মেটায় বঙ্গমায়ের সন্তান নামে।
গাছের ছায়ায় আরাম আনে,
পুকুর পাড়ে বাতাস যখন ক্লান্তি টানে।
ধীরে ধীরে ভানুর অসহ্যতা হয় ম্লান,
গোধূলির আবেশে পরিবেশ গায় গান।

গোধূলি, 
শান্ত সূর্যের কোমল আবেশে,
মেতে যায় মধুর সত্তা পরিবেশে।
রাশি রাশি মেঘের বুক চিরে,
বিচ্ছুরিত রশ্মি দোলায় অন্তর ঘিরে।
মধুর অনুভূতির রসদ ক্রমাগত জাগে,
গোধূলির গাড় পবিত্রতা ক্ষীণ হওয়ার আগে।
গোরুর ধূলি আর মনমোহন পাখির ডাকে,
দূরে পাহাড়ের নীচে সূর্যি বাঁকে।

সন্ধ্যা,
জোনাকির আলোয় সন্ধ্যা নামে,
শঙ্খের ধ্বনি বাজে প্রতি ধামে।
চাঁদের আলো জলে পড়ে,
মাছেরা সব আপন মনে খেলা করে।
তারা নক্ষত্রের মধুর প্রেমে,
সমস্ত ক্লান্তি যায় থেমে।
নীড়ের পাখিরা বাইরে এসে,
মজা লুটে মনোরঞ্জন পরিবেশে।
বাড়ির পুরুষ ঘরে আসে,
ভোরে আবার যাবে চাষে।
এইভাবেই বাংলার দিন চলে,
বাংলার রূপে আরও পূর্ণতা ঢলে।।


রচনাকাল -
নিজ বাসভবন,
31/03/2017,শুক্রবার, 
সকাল- 10:10,




আবৃত্তির শোনা জন্য :-
click》 (আবৃত্তি শুনুন )